ওয়েব ডেস্ক: শহীদ ডা. মিলন দিবস আজ। ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় গুলিতে নিহত হন ডা. শামসুল আলম খান মিলন। ডা. মিলনের ৩০তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ (২৭ নভেম্বর)।
ড. মিলন চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ এবং ঢাকা কলেজের বায়োকেমিস্ট বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।
শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের রক্তদানের মাধ্যমে স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে দুর্বার আন্দোলনে রূপ নেয়। এ আন্দোলন অচিরেই পরিণত হয় গণঅভ্যুত্থানে। ফলশ্রুতিতে এক ঐতিহাসিক ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বীর শহীদ ডা. মিলনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন তারা।
দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী দল ও সংগঠনসহ শহীদের পরিবারের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে আছে- কালো ব্যাজ ধারণ, শোক র্যালি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে ডা. মিলনের কবর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মোড়ে শহীদ ডা. মিলন স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, কবর জিয়ারত, পবিত্র ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত ও আলোচনা সভা।